পাখি পালন যদিও অনেকে শখের বশে করে তবে বানিজ্যিকভাবে এখন অনেকে করছেন। পাখির খামার বিভিন্ন পাখি দিয়ে করা যায়। সেক্ষেত্রে দেশী ও বিদেশী পাখি দিয়ে খামার করা যায়। তবে যারা প্রথম এই ব্যবসায় আসতে চান তারা যেন অবশ্যই কম দামী পাখি দিয়ে শুরু করেন। কারন কম দামী পাখি পালন করা সহজ এবং কম ঝুকিপূর্ণ। তারপর অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে দামী পখি দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে।
বিভিন্ন জাতের বিদেশী পেট পাখি গুলো মূলত খামারে পালন করা হয়। প্রজাতি ভেদে বিভিন্ন ধরনের পাখি 500 থেকে 5000 টাকায় বিক্রি করা যায়। এছাড়াও বেশ কিছু উন্নত জাতের পাখি রয়েছে যেগুলো বাজারে 10 থেকে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়। এসব দিক বিবেচনায় রেখে পাখির খামার করে আয় করাটা খুব বেশি কঠিন বিষয় নয়। তবে পাখির খামার করে আয় করতে চাইলে এই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন কিংবা বড় কোনো খানা এর সাথে যোগাযোগ রাখা বা লিংক আপ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাখির খামার করতে চাইলে সাধারণত এটি দুই ভাবে করা যায় প্রথমটি হচ্ছে খাঁচার ভিতর পাখি পালন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে কলোনি করে পাখি পালন। মোটামুটি 30 বা 40 জোরা পাখি দিয়ে খামার শুরু করতে 50 হাজার টাকার মতো বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাড়িতে ছাদে অথবা ঘরের ভেতর যে কেউ পাখির খামার করতে পারেন। এখানে খামার করার মতো বেশ কয়েকটি পাখির জাত বলা হল বাজরিগার লাভ বার্ড ককটেল কাকাতোয়া টিয়া এবং এগুলো ছাড়াও কবুতর তো আছেই।
বর্তমানে জাভা এক হাজার দুইশ টাকা, বাজারিগার তিনশ টাকা জোড়া, লাভ বার্ড তিন থেকে চার হাজার টাকা, ককাটেল আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা, মুনিয়া দুইশ টাকা, প্রিন্স চারশ টাকা, ডায়মন্ড ডাব আটশ টাকা ও কবুতরের জোড়া দুইশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাখি বিক্রি করেই বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হচ্ছে তাদের।
বাজারজাতকরণ
পাখির খামার এর ব্যাপারে ভাবলে সবার আগে মাথায় আসে ” বিক্রি করবো কোথায়” । এখানে এর সহজ সমাধান দেয়া হলো। পাখির খামার করে আয় করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পাখি বিক্রি। প্রতিটি জেলায় কিন্তু সাপ্তাহিক হাটে অনেক পাখি বেচাকেনা হয়। এই হাটগুলো ছাড়া আরো বেশ কিছু উপায় আপনার পাখি বিক্রি করতে পারবেন। প্রথম উপায় হচ্ছে এলাকার পাখির দোকানে বিক্রি। কিন্তু দোকানে বিক্রি করলে সমস্যা হল দাম পাবেন পাখি নর্মাল বিক্রি দামের ৫০% । এছাড়া যদি অনলাইনে পাখি বিক্রি করতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। এখনো হয়তো অনেকেই চিন্তা করবেন পাখির খামার তো অনেক মানুষ করে ! কিন্তু তারা কেন লস করছে। এর কারণ হলো তারা খামার করতে জানে না বা তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্য নেই । আসলে মূল ব্যাপার হলো পাখির খামার করা লাভজনক, কিন্তু লস খাবার কারন বিনিয়োগকারী নিজে । যদি পাখির খামার একটি লস ইনভেস্টমেন্ট হতো তবে সব খামারীরা লস করতেন কিন্তু বাস্তবে তেমনটি হচ্ছে না। সুতরাং যদি সঠিকভাবে ও নিয়ম মেনে পাখির খামার করা যায় তবে অবশ্যই সেখান থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব।
nc
Nice
You must be logged in to post a comment.