বাংলাদেশের প্রচলিত ব্রা ও ব্রার সঠিক পরিমাপ নির্ণয় - ব্রা সংরক্ষণের উপায়

  Generate Earning Link

অধিকাংশ মেয়েরাই জানিনা আসলে কোথায় কি ধরনের ব্রা পরা উচিত, কোন কাপড়ের সাথে কেমন ব্রা পরিধান করা উত্তম। আর অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের পরিমাণ আরও বেশি যেমন কলেজ পার্টি কিংবা ফেলা বৈশাখে অনেকেই শাড়ি পরেন কিন্তু শাড়ি ব্লাউজের নিচে আদৌ ব্রা পরা উচিত কিনা আর পরলেও কেমন ব্রা পরা উচিত্‍ সে বিশয়ে তাদের জানা থাকেনা।

১। পুশআপ ব্রা 

 

 

পুশ আপ ব্রা সাধারণত অল্পবয়সী মেয়েরা বেশি ব্যবহার করে থাকে। এতে ক্লিভেজের গঠন অনেক আবেদনময়ী করে তোলে। সব ধরনের ড্রেসের নিচে পরিধানযোগ্য এ ব্রা। তবে আঁটসাঁট সেক্সি ড্রেস পরার সময় পুশ আপ ব্রা-এর প্রয়োজন হয়। সঙ্গে যাদের ব্রেস্ট তুলনায় ছোট তারাও এই অপশনে চোখ রাখতে পারে। আবার অসমান স্তনের ক্ষেত্রে পুশ,আপ ব্রা ভাল কার্যকর, এতে প্যাড ব্যবহার করে স্তনের বাহ্যিক লুক আকর্ষণীয় রাখা যায়।

 

 

 

 

 

 

২। স্পোর্টস ব্রা     

 

 

স্পোর্টস, সুইমিং, ডান্স ক্লাস দিনভর বিভিন্ন ধরনের ফিজ়িক্যাল অ্যাক্টিভিটি ১৯ ২০-দের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে এই অ্যাক্টিভিটিগুলোর প্রভাব যাতে ব্রেস্টের উপর না পড়ে তার জন্য দরকার একটা ভাল স্পোর্টস ব্রা। বাজারে দু'রকম স্পোর্টস ব্রা পাওয়া যায়। একটা যা স্ট্রেচ ফ্যাব্রিক দিয়ে বানানো। এতে চেস্ট কমপ্রেশন টেকিনিক ব্যবহার করা হয়। আর একটায় হালকা মোল্ডের কাপ ব্যবহার করা হয়।

 

 

স্পোর্টস ব্রা সাধারণত খেলাধুলা কিংবা ব্যায়ামের জন্য পারফেক্ট। অথবা গলা ঢাকা থাকে এমন ড্রেসের নিচে পরা যেতে পারে, এ ধরনের ব্রা এর স্ট্রাপ বা ফিতা বেশ মোটা হওয়ায় টিশার্ট, ব্লাউজ কিম্বা টপসের নিচে পরা ঠিক নয়।

 

 

৩। ব্যাকলেস ব্রা 

 

অনেকেই শাড়ির সাথে ব্যাকলেস ব্লাউজ় পরেন কিংবা শখ করে ব্যাকলেস, স্লিভলেস ব্লাউজ পরেন। তবে সঙ্গে ব্যাকলেস ব্রা না রাখলে যে স্টাইলটি মাঠেই মারা যাবে। বাজারে অনেকরকম ব্যাকলেস ব্রা-এর চল রয়েছে। পপুলার অপশন গুলো হল সিলিকন, নিপল কভার ইত্যাদি। তবে যেহেতু এই ব্রা-এর ক্ষেত্রে পিছন থেকে কোন সাপোর্ট সিস্টেম (ব্যান্ড) থাকে না তাই বিশেষজ্ঞদের মতে এটা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ এতে ব্রেস্ট টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে যার ফলে স্যাগিং অবধারিত।

 

সাধারণত পার্টি, সেলিব্রেশনে কম সময়ের জন্য অবস্থানে ব্যাকলেস ব্লাউজ বা ড্রেসের মধ্যে পরা হয়।

 

 

 

৪। কনভার্টিবল ব্রা 

 

 

 

শাড়ি, টি-শার্ট তো হল। তবে রেসার ব্যাক গেঞ্জি বা হাই ফ্যাশন ড্রেসটার সঙ্গে পরার জন্য অন্তর্বাসের দুনিয়ায় দোসরের খোঁজে থাকলে এই কনভার্টিবল ব্রা কালেকশনে না থাকলেই নয়! এর স্ট্র্যাপ অ্যাডজাস্টেবল। ফলে একই ব্রা-এ অনেক রূপ পাওয়া যাবে- স্ট্র্যাপলেস, ওয়ান শোলডার, ব্যাকলেস, রেসারব্যাক, হল্টার ইত্যাদি। ইচ্ছামত স্ট্রাপ চেঞ্জ করে ব্যবহার করা যায়, যা ফুল সাপোর্টিভ ব্রা হিসেবে কাজ করে।

 

৫। ডেমি কাপ ব্রা 

 

 

লো নেকলাইন বা ডিপ ভি-কাট পরতে গেলে ডাক পরে এই ডেমি ব্রা-এর। এর কাপটা একটু ছোট হয় তাই একটু রিভিলিং কাট পরতে চাইলে সকলের অন্তর্বাস হিসেবে ফার্স্ট চয়েস এই ডেমি ব্রা। এতে স্তন উচু হয়ে থাকে, ফলে ড্রেসের উপর থেকে স্তনের আকৃতি সুগঠিত বলে মনে হয়। যাদের স্তন সাইজ বড় ও ঝুলে গেছে তারা পরতে পারেন। কামিজ, কুর্তি কিংবা টপসের নিচে পরা যায়।

 

৬। মিনিমাইজ়ার ব্রা 

 

অনেকের বাস্টলাইন স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হয়। এই ব্রা মূলত তাদের জন্য। মিনিমাইজ়ার ব্রা ব্যবহার করলে বাস্টলাইন আসলের চেয়ে ছোট দেখাবে। আবার অনেকে স্তন সাইজ বড় বলে টাইট লোয়ার ব্যান্ডের ব্রা পরেন, এতে পিঠের দিকে ভাজ পড়ে থাকে, খুব বেমানান দেখায়। মিনিমাইজার ব্রা ব্যবহারে এ ধরনের অস্বস্তিতে পড়ার সম্ভবনা থাকেনা।

 

৭। ব্যালকোনেট ব্রা 

 

 

শোনা যায় এর কাপ ব্যালকনি শেপের বলে এর নাম হয় ব্যালকোনেট ব্রা। হাফ বা থ্রি কোয়ার্টার কভারেজ দেয় ব্যালকোনেট। মধ্যম সাউজের স্তনের জন্য এ ধরনের ব্রা প্রিফারেবল। যাদের স্তন সাইজ ৩৪-৩৬ এর মধ্যে এদের ক্ষেত্রে টপ্স, টিশার্ট কিংবা যেকোন ওয়েস্টার্ন ড্রেসে সেক্সি লুক নিতে এ ব্রায়ের জুড়ি নেই। তবে এধরনের ব্রা বেশি সময় পরে থাকা অনুচিত যেহেতু পুরো স্তনকে কভার করেনা ব্যালকোনেট ব্রা।

 

 

 

 

৮। প্যাডেড ব্রা 

 

বাস্টলাইন ছোট বলে মুখ ভার? মুখে হাসি ফেরাতে বন্ধুত্ব করে নিতে পার প্যাডেড ব্রা-এর সঙ্গে। এই ব্রা-এর বিশেষত্ব হল এর এক্সট্রা প্যাডিং। অনেকসময় প্যাডিংগুলো অ্যাডজাস্টেবল থাকে মানে বের করে নেওয়ার অপশনও থাকে। ইচ্ছামত স্তনের আকার সাময়িক ভাবে বাড়ানো বা কমানো অপশন চিন্তা করলে প্যাডেড ব্রা প্রথম চয়েজ হওয়া উচিত। যাদের স্তন সাইজ ৩২-৩৪ এদের ক্ষেত্রে যেকোন ড্রেসের সাথে পরিধানযোগ্য।

 

 

 

 

 

৯। ম্যাটারনাল ব্রা 

 

 

 

 

এগুলো বিশেষ ধরনের ব্রা। সাধারনত বাচ্চাকে দুধ পান করানোর জন্য এধরনের ব্রা পরা হয়। এতে নিপলের কাছে খোলা ও বন্ধ করার যোগ্য দুটো ফুটো থাকে, সম্পুর্ন ব্রা না খুলেও সন্তানকে স্তন্যপান করানো যায়। সাধারনত সুতী কাপড়ের তৈরি বলে আরামদায়ক হয়ে থাকে।

 

  

১০। অ্যাডহেসিভ ব্রা 

 

 

 

 

এডহেসিভ ব্রা দুটো আলাদা সিলিকনের তৈরি কাপ ফ্রন্ট লক হুক দিয়ে লাগানো ও খোলা যায়। সাধারনত সাইজ অনুযায়ী স্তনের উপর বসিয়ে দিলেই এটা স্তনে টাইট হয়ে থাকে। এগুলো স্ট্রাপলেস, ব্যাকলেস হয়। ভাল মানের এডহেসিভ ব্রা ব্যবহার করা উচিত, এতে স্তনে দাগ পড়েনা। টপ্স, টিশার্ট, ব্লাউজ, ট্রান্সপারেন্ট ড্রেসের নিচে পরার জন্য উত্তম।

 

 

এছাড়া ডিপ প্ল্যাঞ্জ, ম্যাস্টেক্টমি, টিশার্ট ব্রা, ব্রালেট্টি ব্রা পাওয়া যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রেসের সাথে মিলিয়ে এসব অপশনের দিকে পা বাড়ানো যেতে পারে। মনে রাখতে হবে স্টাইলের জন্য যেন বাস্টের শেপ বা ফিটনেস কোনওটাই নষ্ট না হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

কিভাবে মাপবেন আপনার স্তন-এর সাইজ?

 

 

মজার বিষয় হলো অনেক মেয়েরাই নিজের মাপ জানেন না। ফলে সঠিক মাপের ব্রা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যান। নিচের পদ্ধতি অনুযায়ী ছবির সাথে মিলিয়ে নিজের সাইজ নিজেই বের করতে পারেন।

 

 

 

A. প্রথমে স্তনের ঠিক নিচেই আলতো ভাবে ফিতা ধরুন। ফিতা ও শরীরের মাঝে এক আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা রেখে পুরো ঘেরের মাপ নিন। ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮ যাই হোক যদি আপনার মাপটি বেজোড় সংখ্যায় আসে তবে ৫ ইঞ্চি যোগ করুন, আর জোড়সংখ্যায় আসলে ৪ ইঞ্চি যোগ করুন। আর এটাই হবে আপনার প্রকৃত ব্যান্ড সাইজ। যেমন স্তনের নিচের মাপ পেলে ২৯ ইঞ্চি, তাহলে ৫ ইঞ্চি যোগ করুন=৩৪ ইঞ্চি। আর এই মাপ যদি ৩২ ইঞ্চি হয় তবে ৪ ইঞ্চি যোগ করুন= ৩৬ ইঞ্চি হবে আপনার ব্যান্ড সাইজ।

 

B. এবার স্তনের সর্বোচ্চ স্ফিত অংশে ফিতা ধরে মাপ নিন। এই মাপ থেকে সাইজ-এর মাপ বাদদিলেই আপনার কাপ সাইজ বেরিয়ে আসবে। যেমন আপনার সাইজ ৩৪, আর স্তনের মাপ এলো ৩৭। তাহলে আপনার ব্রার সাইজ ৩৪ সি। প্রতি ইঞ্চিতে এক সাইজ বেড়ে যায়। ১'= এ, ২' = বি, ৩'= সি. ৪'=ডি ইত্যাদি।

 

 

মনে রাখবেন স্তন সাইজ মাপার সময় মোটা কাপড়ের উপর থেকে কখনওই মাপ নেবেন না। এতে সঠিক মাপ পাবেন না।

 

 

 

 

 

 

সঠিক ব্রা বেছে নিতে মনে রাখুন ৯টি নিয়ম

 

 

 

 

 

 

যদি অন্তর্বাসের আকার সঠিক না হয় তাহলে ব্যাপারটি বড়ই অস্বস্তিকর। বিশেষ করে ব্রা আরও বেশি অস্বস্তিকর। কারণ ব্রা সুগঠিত দেখানোর পাশাপাশি নিরাপত্তাও দেয়। তাই সামান্য সমস্যা থাকলেও পুরানো ব্রা বাদ দিয়ে নতুন ব্রা ব্যবহার করতে হবে। সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহারের কিছু বিজ্ঞানসম্মত উপায় আছে, চলুন জেনে নিই সেই উপায়গুলো।

 

 

 

১) ব্রা এর কাপের চাইতে ফিতার সাইজ কে গুরুত্ব দিন 

 

 

 

ব্রা-এর কাপ সাইজের সাথে এর ফিতার সাইজের একটা সম্পর্ক আছে। তাই কোন ব্রা কেনার সময় ফিতার সাইজটাও দেখে নিন।

 

২) পিঠের হুক দেখে কিনুন 

 

 

 

প্রায় সব ব্রা-তেই হুক লাগানো ফিতা থাকে। পেছনে সেই হুক লাগিয়েই ব্রা পরা হয়। ব্রা কেনার সময় দেখে নিন সেই হুক লাগানোর অনেক গুলো ঘর আছে কিনা। যে ব্রা গুলোতে হুক লাগানোর জন্য একাধিক ঘর আছে সেগুলো কেনাই ভালো।

 

 

৩) পেছনে চওড়া ফিতা 

 

 

 

ব্রা কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন পেছনের ফিতা বা বেল্ট যেন খুব বেশি চিকন না হয়। বিশেষ করে ওজন বেশি নারীরা চওড়া ফিতা দেখে ব্রা কিনুন।

 

৪) ব্রা তৈরির উপাদান 

 

এটা একটা অত্যন্ত জরুরী বিষয়। সিনথেটিক ব্রা নিয়মিত পরলে নানা রকম ত্বকের অসুখ হতে পারে। সাথে গরমের দিয়ে বাড়তি অস্বস্তি তো আছেই। নিয়মিত পরার জন্য সুতির ব্রা-ই ভালো।

 

৫) ফিতা টাইট দেখে নিন 

 

 

 

ব্রা এর ফিতা খুব বেশি টেনে উঠিয়ে রাখবেন না। অনেকেই ব্রায়ের ফিতা টেনে উঠিয়ে পরেন যাতে ফিতা কাঁধ বেয়ে পড়ে না যায়। কিন্তু এই অভ্যাসের কারণে ব্রা এর ফিতা খুব তাড়াতাড়ি ঢিলে হয়ে যায়। ব্রা কেনার সময় একটু টাইট দেখে কিনুন।

 

 

৬। সমান্তরাল থাকা 

 

 

 

ব্রার 'কাপ' এর উপরের অংশ বুকের সাথে সমান্তরালে থাকবে। ব্রা এবং শরীরের মধ্যে কোনও ফাঁক থাকবে না। আবার বেশি চেপেও থাকবে না যাতে শরীরের কোনও অংশ ফুলে থাকে। যদি এরকম হয় তবে অবশ্যই নতুন মাপের ব্রা পরিধান লরতে হবে।

 

 

 

৭। পেছনের ফিতা সোজা থাকা 

 

 

 

ব্রার পেছনের ফিতা যদি সোজা না থাকে তাহলে বুঝতে হবে ব্রার মাপ ঠিক নেই। অনেকসময়ই পেছনের ফিতা উপর দিকে উঠে আসে, এর মানে হচ্ছে মাপ ঠিক হয়নি। পেছনের ফিতা অবশ্যই পিঠের দুই চাকতির নীচে সমান্তরালভাবে থাকবে।

 

 

৮। 'স্ট্র্যাপ' কাঁধ থেকে খসে পরা 

 

 

 

ব্রার বয়স যদি এক বছর বা তার বেশি হয়ে যায় তবে এই সমস্যা হতে পারে। তারমানে অন্তর্বাসেই রয়েছে সমস্যা। স্ট্র্যাপ পেছনের ফিতা থেকে সামনের কাপের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। আর ব্রা কে সঠিক জায়গায় থাকতে সাহায্য করে।

 

 

 

যেখানে সেখানে কাঁধ থেকে ব্রার ফিতা খসে পড়াও অস্বস্তিকর বিষয়। ঘাম ও শরীরের উত্তাপের কারণে ইলাস্টিকের কার্যকরিতা কমতে থাকে। যদি বেশ কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে নতুন ব্রা কিনুন এখনই।

 

 

৯। আকার ছোট বড় 

 

 

 

ব্রা সঠিক আকারের পাশাপাশি সঠিক মাপেরও হতে হবে। তবে এটা শরীরের গঠনের উপর নির্ভর করে। অনেক মহিলারই একটি স্তন থেকে অন্য স্তন একটু ছোট বা বড় থাকে, বিশেষ করে ডান স্তনটি সাধারণত বাম স্তন থেকে বড় হয়। এরকম সমস্যা যাদের, প্রায়ই তাদের সঠিক মাপের ব্রা পেতে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে 'স্ট্রেচি কাপস' বা টানলে বড় হয় আবার ছেড়ে দিলে আগের মত হয়ে যায় এরকম স্ট্রেচ-কাপড়ের অন্তর্বাস ব্যবহার করলে এ সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।

 

আপনার অন্তর্বাস যেভাবে টিকবে বেশিদিন

 

 

আপনার অন্তর্বাস যেভাবে বেশিদিন টিকবে। অনেক সাধ করে প্রচুর টাকা খরচ করে অন্তর্বাস কিনলেন, কিনে যদি বেশিদিন পরতেই না পারলেন, তা হলে কী লাভ বলুন তো ! অন্তর্বাস প্রত্যেক নারীর নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সঙ্গী। আর অন্তর্বাস সবসময় একটু ভালো কোয়ালিটি ও দামি পরা উচিত। সস্তার অন্তর্বাস মোটেই সুস্বাস্থ্যকর নয়। তাই বেশিরভাগ নারীই নামীদামি ব্রান্ডের ব্রা বা অন্তর্বাস ব্যবহার করেন। কিন্তু অল্প কয়েকদিনেই যদি ব্রা নষ্ট হয়ে যায়, তা হলে তো সমস্যা। অনেকদিন পর্যন্ত ব্রা ভালো রাখতে হলে, চাই ব্রা সঠিক যত্ন। ব্রা অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার যোগ্য করে রাখতে কোন কোন বিষয়ে নজর রাখতে হবে, দেখে নিন একনজরে -

 

 

১) পিছনের হুক আগে লাগিয়ে তারপর ব্রা পরা অনেকেরই অভ্যাস । এমনটা একেবারেই করা উচিত্‍ নয় । এতে ব্রায়ের লেস আলগা হয়ে যায়। তাই প্রথমে ব্রা পরুন, তারপর পিছনের হুক লাগিয়ে নিন।

 

২) ব্রা পরার পর, ভালো করে অ্যাডজাস্ট করে নেওয়া দরকার। তা না হলে ব্রা'র আকার বদলে যাবে।

 

 

 

৩) ব্রা কেনার সময় আয়নার সামনে একবার পরে দেখা ভালো। অনেক সময় বোঝা যায় না, শরীরের গড়ন অনুযায়ী সঠিক ব্রা কেনা হয়েছে কি না। নিজের শরীরের গড়ন অনুযায়ী সঠিক সাইজের ব্রা বেছে নিন।

 

 

৪) পোশাকের সঙ্গে সঠিক ব্রা পরাটাও জরুরি। হালকা রঙের পোশাকের নিচে সাদা বা ক্রিম কালারের ব্রা এবং গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে গাঢ় রঙের ব্রা বেছে নিন।

 

 

৫)অনেকদিন পর্যন্ত ব্রা ব্যবহারের যোগ্য রাখতে চাইলে দরকার সঠিক উপায়ে পরিষ্কার করা। ব্রা অন্য কোনও পোশাকের সঙ্গে পরিষ্কার না করে আলাদা করে পরিষ্কার করুন। ওয়াশিং মেশিনের বদলে হাতে ধুলেই ভালো। তাতে ব্রা অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

 

৬) ব্রা পরিষ্কার করার জন্য হালকা ডিটারজেন্ট বেছে নিন। ব্লিচ না ব্যবহার করাই ভালো।

 

৭) বেশি রোদে কখনও ব্রা শুকোতে দেওয়া উচিত নয়। ছায়ায় বা হালকা রোদে শুকোতে দিন। ভিজে ব্রা শুকোতে আয়রনের ব্যবহার না করাই ভালো।

 

৮) ব্রা অনেকদিন পর্যন্ত ভালো রাখতে ভাঁজ করে রাখবেন না। আলমারির ড্রয়ারে বা র‍্যাকে স্বাভাবিকভাবে রেখে দিন

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Sayra - Jun 29, 2022, 12:36 PM - Add Reply

Nice post

You must be logged in to post a comment.
Sohan - Jun 29, 2022, 8:56 PM - Add Reply

Nice post

You must be logged in to post a comment.
Aziber - Jun 29, 2022, 9:05 PM - Add Reply

Good post

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
About Author
Recent Articles
Jul 6, 2024, 8:06 PM affan qureshi
Jul 6, 2024, 12:36 PM affan qureshi
Jul 3, 2024, 1:19 PM affan qureshi
May 1, 2023, 1:50 AM মোহাম্মদ রিদুয়ান