স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এলাচি
পাঠ /পদ্ধতি - ১
এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য এলাচ সুগন্ধি যুক্ত একটি মসলা। এলাচকে বলা হয় মসলার রানী। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এলাচ।এখানে এলাচ থেকে আপনি যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন তা তুলে ধরা হল।
এলাচ ও আদা সমগোত্রীয়। আদার মতোই পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অনেক কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।
দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে।
রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এলাচের রক্ত পাতলা করার দারুণ গুনটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চুষতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়াসহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
এলাচের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল ইত্যাদি পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এলাচ ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়ক।
পাঠ /পদ্ধতি - ২
খাবার খেতে বসলে মুখে এলাচ চলে গেলে মুখের স্বাদটাই মাটি হয়ে যায় অনেকের। ম নে মনে ভাবতে থাকেন এলাচ খাবারে না দিলেই কি নয়? কিন্তু সত্যিই এই এলাচ রান্নাতে না ব্যবহার করলেই নয়। কারণ রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানো এলাচের অন্যতম কাজ।
কিন্তু আপনি জানেন কি রান্না ছাড়াও আপনি এলাচ খেলে তা আপনার ১০ টি শারীরিক সমস্যা দূরে রাখবে? অনেকেই হয়তো বিষয়টি জানেন না। কিন্তু প্রতিদিন মাত্র ১ টি এলাচ খাওয়ার ফলে নানা রকম সমস্যার সমাধান পাবেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এলাচের উপকারী গুণ সম্পর্কে ---
১) এলাচ এবং আদা সমগোত্রীয়। আদার মতোই পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অনেক কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।
২) দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে।
৩) রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এলাচের রক্ত পাতলা করার দারুণ গুনটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
৪) এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
৫) মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চুষতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
৬) নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়া সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৭) গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
৮) এলাচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল, ফ্রি র্যাহডিকেল ইত্যাদি পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এলাচ ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়ক।
এই মসলা খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হলেও রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপকারিতা যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। আশা করি, এখন থেকে আপনারাও এ যথাযথ ব্যবহার করবেন।
একটি তেজপাতা ও উপকার
প্রাচীন ভারতীয় অ্যারোমা থেরাপি অনুসারে, তেজপাতার সুগন্ধ শরীর ও মনে বিশেষ হিতকারী প্রভাব বিস্তার করে। রান্নাঘরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তেজপাতা । খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই ব্যবহার করা হয় তেজপাতা। কিন্তু জানেন কি, তেজপাতার ভেষজ গুণ শরীর ও মনের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী?
প্রাচীন ভারতীয় অ্যারোমা থেরাপি অনুসারে, তেজপাতার সুগন্ধ শরীর ও মনে বিশেষ হিতকারী প্রভাব বিস্তার করে। এই উপকার পেতে গেলে ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে একটি তেজপাতা পুড়িয়ে ফেলুন। দেখবেন, একটা মিষ্টি সুগন্ধে ভরে গিয়েছে ঘর। এই সুগন্ধ শরীর ও মনের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
একদিকে তেজপাতা পোড়ার গন্ধ শারীরিক ক্লান্তি, ভেরিকোজ ভেন, গাঁটের ব্যথা, ভাইরাল ইনফেকশন ইত্যাদি থেকে মুক্তি দেয়। অন্যদিকে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রেও এই সুগন্ধ বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। যেমন, এই গন্ধ উত্তেজনা প্রশমন করে মনকে শান্ত হতে সাহায্য করে। ফলে ফিরে আসে মানসিক শান্তি।
এই কারণেই ধ্যান বা যোগ ব্যয়ামের সময় অনেকে তেজপাতা পোড়া ধোঁয়া ব্যবহার করে থাকেন। বলা হয়, সামগ্রিকভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও তেজ পাতা পোড়ার গন্ধ বিশেষভাবে কার্যকর হয়ে থাকে।
তাহলে আর দেরি কীসের? রান্নাঘর থেকে বার করে এনে তেজপাতাকে কাজে লাগান শরীর আর মনের হাজার সমস্যা দূর করতে।
Nice post
Nice
Good post
Upokari post
You must be logged in to post a comment.