আদা
রান্নাঘরের সহজলভ্য একটি উপাদান আদা। সুস্বাদু খাবারের মসলা হিসেবেও এর জুড়ি নেই। আদা প্রাকৃতিক ঔষধি গুণাগুণেও ভরপুর। অতি প্রাচীনকাল থেকেই এটি ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আদাতে আছে শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট, এন্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যালার্জি প্রতিরোধক উপাদান। রান্নায় আদা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা ছাড়াও আদার রস ও আদা চা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে প্রায় সব ঘরেই। এবার আদা চা বা আদার রসে কী কী গুণাগুণ রয়েছে তা একবার জেনে নিই চলুন।
১। পেটে ব্যথা
পেটে ব্যথা হলে আদা চা খেতে পারেন। আদাতে রয়েছে বেদনানাশক উপাদান যা সহজেই তাৎক্ষণিকভাবে পেটে ব্যথা কমায় ও আরাম দেয়।
২। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
আদার রস শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো এসিড। প্রতিদিন আদার রস বা আদা চা খেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ঠিক থাকে ও হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। আদার রস ধমনীতে চর্বি জমতে দেয় না, ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৩। ঋতুস্রাব
যাদের ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে ব্যাথা হয়, তারা আদা সেদ্ধ পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পেটে সেঁক দিতে পারেন। এসময় আদা চায়ে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে করে মাসিক চক্র ঠিক থাকবে।
৪। বাতের ব্যথা
জয়েন্টে বাতের ব্যথা কমাতে আদা খুব ভালো কাজ করে। আদার প্রদাহ ও ব্যথানাশক উপাদান বাতের ব্যথা খুব সহজেই নিরাময় করে। এক্ষেত্রে নিয়মিত আদা চা খান, পানিতে আদা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে স্নান সেরে নিন, আরাম পাবেন। এখন বাজারে আদার তেলও পাওয়া যায়। ব্যথাস্থানে সেই তেল ম্যাসাজ করলেও আরাম পাবেন।
৫। হজম ও আলসার
আদা হজমে সহায়তা করে। ভারি খাবার খাওয়ার পর খানিকটা আদা চিবিয়ে খান। দেখবেন পেটের অস্বস্তিভাব কেটে যাবে। আদার রস খাদ্যের ভেতরকার পুষ্টিকে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি পাকস্থলিতে এক প্রকার শ্লেষ্মা তৈরি করে যা আলসার হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে।
৬। বমিভাব
দূরের যাত্রাপথে বমিভাব হলে আদা খেতে পারেন। ব্যাগে আদা ছোট ছোট করে কেটে রাখুন। পুদিনা পাতা ও খানিকটা আদা চিবিয়ে খান। বমিভাব কেটে যাবে। এছাড়াও বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মধু দিয়ে আদা চা খেয়ে বের হলে ভালো অনুভব করবেন।
৭। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আদা শরীরের জীবাণু ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন খাওয়ার সময় দুই টুকরো আদা খান। এতে বুকে জমা কফ বেরিয়ে আসবে ও অসুখ-বিসুখ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে অনেকাংশেই।
৮। মুখ পরিষ্কার করে
আদায় রয়েছে এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যা মুখের ভেতরে জীবাণুকে মেরে ফেলে ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
৯। সংক্রামণ রোগ
আদাতে রয়েছে এন্টি-ফাংগাল ও এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা শরীরের বাইরের অংশের ঘা ও সংক্রামণ রোগের বিনাশ করে। আর নয় দুশ্চিন্তা আদা চা মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে। সারাদিন পর এক কাপ আদা চা আপনাকে দেবে প্রশান্তি। এছাড়াও অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আদা সেদ্ধ পানি দিয়ে স্নান নিতে পারেন, শরীর ঝরঝরে লাগবে।
১০। ক্যান্সার নিরাময়ক
এতে রয়েছে এন্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিজ। আদার উচ্চমানের এন্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে দেয় না। অনেক সময় শরীরে ক্যান্সারের সেল তৈরি হলেও তা ছড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
১১। মাইগ্রেন
আদার রস রক্তনালীর প্রদাহ দমন করে। মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা হলে আদা পেস্ট করে কপালে লাগাতে পারেন, ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যাবে।
১২। ঠাণ্ডা, কাশি ও ফ্লু
অতি প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, কাশি ও ফ্লু-র ঔষধ হিসেবে আদার রস ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠাণ্ডা বা কাশির সমস্যা সমাধানে আদার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ১০ সেকেন্ড গরম করে খান, শিঘগিরই সেরে উঠবেন।
হলুদ
বাংলাদেশীয় খাবারে যেসব মশলার উপকরণ ব্যবহার করা হয়, হলুদ তার মধ্যে একটি। রান্নার উপকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও হ্লুদের জুড়ি নেই। যেমন-
১। মুখে জ্বালা-পোড়া করলে গরম পানির মধ্যে হ্লুদের পাউডার মিশিয়ে কুলকুচি করলে জ্বালা-পোড়া কমে যায় ।
২। শরীররে কোনো অংশ পুড়ে গলে পানির মধ্যে হলুদরে পাউডার মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যায় ।
৩। আয়ুরবেদিক এর মতে হলুদ নাকি রক্ত শুদ্ধ করে, তাই হ্লুদের পেস্ট লাগালে র্চম রোগ দূর হয়।
৪। হলুদ চেহারার সৌর্ন্দয বাড়াতে সাহায্য করে, হলুদের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
৫। গা ব্যথা হলে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেলে ব্যথা উপশম হয়। শরীরের কোন জয়েন্টে ব্যথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরি করে প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
৬। হলুদ মোটা হওয়া থেকে বাঁচায়। হলুদে কারফুইম নামে এক ধরনের রাসায়নিক পর্দাথ রয়েছে যা খুব তাড়াতাড়ি শরীরের ভিতর প্রবেশ করে শরীরের কলাগুলোকে বাড়তে দেয় না।
রসুন
পাঠ /পদ্ধতি - ১
জেনে নিন রসুনের এমনই অসাধারণ কিছু গুণাবলী সম্পর্কে। প্রত্যেকদিন ২ কোয়া রসুন আপনার শরীরের জন্য কি কি উপকার করবে। যদিও মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ভয়ে অনেকেই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে বিভিন্ন সময় গবেষণায় এই খাদ্য উপাদানটির নানা গুণের কথা বলা হয়েছে।
# ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
# ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
# আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।
# উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
# ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
# গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
# যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
# পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।
# চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
# ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
# হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
# শিরা উপশিরায় জমাট বাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে।
# ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
# দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়।
# দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে।
# রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
# হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
# অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে।
# দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
# শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে।
# কোলন ক্যান্সার ও গলব্লাডার ক্যান্সার প্রতিরোধ করে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।
সতর্কতা --
দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রসুনে অ্যালার্জি কিংবা কোনো বিশেষ কারণে রসুন খাওয়া বন্ধ থাকলে তাদের রসুন না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে
পাঠ /পদ্ধতি - ২
আমাদের দেশের খাবারে যেসব মশলার উপকরণ ব্যবহার করা হয়, রসুন তার মধ্যে অন্যতম। রান্নার উপকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও রসুনের জুড়ি নেই। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)। রসুন খুবই পুষ্টিকর, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ১৭ টি এমাইনো এসিড ময়শ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, এবং আয়োডিন, সালফার এবং ফ্লোরিনও আছে অল্প পরিমাণে। রসুন স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই কারণে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি রসুনকে ‘বিস্ময়কর ওষুধ’ নামে অভিহিত করেছেন। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক সেই ব্যাপারটিই।
১। রসুনে রয়েছে একশরও বেশি রাসায়নিক উপাদান। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। আর সেই কারণেই রসুন জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেহে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এছাড়াও রসুন খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়। অ্যাজমা, কানে কম শোনা, ব্রংকাইটিস কনজেশনে রসুন উপকারি। ঠান্ডা, সর্দি, কফ, সারাতে সাহায্য করে। ফুসফুস, ব্রংকিয়াল টিউব, সাইনাসের গহবরে মিউকাস জমতে দেয় না। টিবি, নিউমোনিয়া, হুপিং কাশির মতো রোগে রসুন বেশ উপকারি।
২। এটা খুব ভালো এন্টিসেপটিক। যে কোন ঘা, আলসার সারাতে সাহায্য করে। হজমের গোলমাল যেমন আমাশয়, কৃমির মতো সমস্যায় রসুন উপকারে আসে। রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্টঅ্যাটাক প্রতিরোধ করে। হৃদরোগ কমায়, রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। শরীরে টক্সিনের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে এই রসুন।
৩। ঔষধ হিসেবে রসুন রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন সেবন রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণও ঠিক রাখে। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম এই রসুন। এমনকি এটি দাঁতের ব্যথাও নিরাময় করে থাকে।
৪। গবেষকরা আরো দাবি করেন, যারা প্রতিদিন রসুন খেয়ে আসছেন তাদের হৃৎপিন্ড হার্ট অ্যাটাকের পর কম ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং হৃৎপিন্ডের অপারেশনের পর তারা দ্রুত সেরে উঠেন। তবে বড়ি হিসেবে রসুন খেলে তা খুব ফলদায়ক হয় না।
৫। রান্নার উপকরন হিসেবে রসুনের ব্যবহার আবহমান কাল থেকেই। শুধু রান্নায় স্বাদের তারতম্য আনার জন্য নয়, রসুনের পুষ্টিগুণও রসুনকে পৌঁছে দিয়েছে উপাদেয় মসলার তালিকায়। তাই রান্নার অনুষঙ্গের পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্য ভাল রাখার মন্ত্র হিসেবেও কাজ করছে। আর এই জন্যই তো বিজ্ঞানীদের কাছে এখন এর পরিচয় “বিস্ময়কর ঔষধ”নামে।
পাঠ /পদ্ধতি - ৩
জেনে নিন খালি পেটে রসুন খেলে কী হয়?
রসুন একটি মশলা জাতীয় উদ্ভিদ, যা আমরা খাবারে প্রয়োগ করা ছাড়াও অন্যান্য কাজেও লাগাই। যেমনঃ ঔষধ হিসেবে রসুন খুব কাজে লাগে, আর রান্না করার সময় এটি না থাকলেই নয়। আমরা অনেকে খালি পেটে রসুন খাওয়ার কথা শুনেছি। যা অনেকের কাছে নানী-মায়ের রেসিপি নামেও পরিচিত। খালি পেটে রসুন খাবার বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হবার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তোলে।
হাজার বছর ধরে খাবার আর ওষুধ, দুই রূপেই রসুন ব্যবহার হয়। প্রায় সাত হাজার বছর আগে মধ্য এশিয়ায় রসুনের প্রচলন ছিল; এরপর আফ্রিকা ও ইউরোপে এর প্রচলন শুরু হয়। খালি পেটে রসুন খাওয়ায় উপকারের কথা বলেছেন অনেক গবেষক। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা।
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক
গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাবার ফলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর ন্যায় কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন খালি পেটে রসুন খাবার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহ আর রক্ষা পায় না।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাবার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাবার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।
অন্ত্রের জন্য
এটি লিভার, পিত্তথলি ও পাকস্থলী ভালো রাখতে সাহায্য করে। হজমশক্তিকে ভালো রাখে রসুন; পাশাপাশি চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। স্নায়ুর চাপের ফলে পাকস্থলীতে যে এসিড তৈরি হয়, তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে এটি।
খাবার যখন ওষুধ
রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি খাবার। বহু বছর ধরে এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী।
শ্বাসের সমস্যায়
নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসনালির প্রদাহ, ফুসফুসে সমস্যা, অ্যাজমা, কাশি ইত্যাদির সমস্যায় রসুন খাওয়া ভালো। এসব সমস্যা রোধে রসুন কার্যকর।
যক্ষ্মার প্রতিরোধে
আপনার যদি টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন।
শ্বসন:
রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে:
অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে।
এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা :
যাদের রসুন খাবার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যাদের রসুন খাবার ফলে দেখেন ত্বকে কোনো সমস্যা হচ্ছে, যদি দেহের তাপ বেড়ে যায়, মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের কাঁচা রসুন না খাওয়া ভাল।
অনেকের রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না । এখন রসুনকে ঔষধের বড়ি হিসেবে তৈরি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
কোনো খাবার নিয়মিত গ্রহণের আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন এবং জেনে নিন খাবারটিতে আপনার কোনো সমস্যা হতে পারে কি না।
রসুন
পাঠ /পদ্ধতি - ১
জেনে নিন রসুনের এমনই অসাধারণ কিছু গুণাবলী সম্পর্কে। প্রত্যেকদিন ২ কোয়া রসুন আপনার শরীরের জন্য কি কি উপকার করবে। যদিও মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ভয়ে অনেকেই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে বিভিন্ন সময় গবেষণায় এই খাদ্য উপাদানটির নানা গুণের কথা বলা হয়েছে।
# ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
# ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
# আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।
# উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
# ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
# গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
# যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
# পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।
# চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
# ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
# হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
# শিরা উপশিরায় জমাট বাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে।
# ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
# দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়।
# দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে।
# রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
# হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
# অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে।
# দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
# শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে।
# কোলন ক্যান্সার ও গলব্লাডার ক্যান্সার প্রতিরোধ করে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।
সতর্কতা --
দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রসুনে অ্যালার্জি কিংবা কোনো বিশেষ কারণে রসুন খাওয়া বন্ধ থাকলে তাদের রসুন না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে
পাঠ /পদ্ধতি - ২
আমাদের দেশের খাবারে যেসব মশলার উপকরণ ব্যবহার করা হয়, রসুন তার মধ্যে অন্যতম। রান্নার উপকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও রসুনের জুড়ি নেই। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)। রসুন খুবই পুষ্টিকর, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ১৭ টি এমাইনো এসিড ময়শ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, এবং আয়োডিন, সালফার এবং ফ্লোরিনও আছে অল্প পরিমাণে। রসুন স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই কারণে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি রসুনকে ‘বিস্ময়কর ওষুধ’ নামে অভিহিত করেছেন। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক সেই ব্যাপারটিই।
১। রসুনে রয়েছে একশরও বেশি রাসায়নিক উপাদান। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। আর সেই কারণেই রসুন জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেহে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এছাড়াও রসুন খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়। অ্যাজমা, কানে কম শোনা, ব্রংকাইটিস কনজেশনে রসুন উপকারি। ঠান্ডা, সর্দি, কফ, সারাতে সাহায্য করে। ফুসফুস, ব্রংকিয়াল টিউব, সাইনাসের গহবরে মিউকাস জমতে দেয় না। টিবি, নিউমোনিয়া, হুপিং কাশির মতো রোগে রসুন বেশ উপকারি।
২। এটা খুব ভালো এন্টিসেপটিক। যে কোন ঘা, আলসার সারাতে সাহায্য করে। হজমের গোলমাল যেমন আমাশয়, কৃমির মতো সমস্যায় রসুন উপকারে আসে। রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্টঅ্যাটাক প্রতিরোধ করে। হৃদরোগ কমায়, রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। শরীরে টক্সিনের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে এই রসুন।
৩। ঔষধ হিসেবে রসুন রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন সেবন রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণও ঠিক রাখে। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম এই রসুন। এমনকি এটি দাঁতের ব্যথাও নিরাময় করে থাকে।
৪। গবেষকরা আরো দাবি করেন, যারা প্রতিদিন রসুন খেয়ে আসছেন তাদের হৃৎপিন্ড হার্ট অ্যাটাকের পর কম ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং হৃৎপিন্ডের অপারেশনের পর তারা দ্রুত সেরে উঠেন। তবে বড়ি হিসেবে রসুন খেলে তা খুব ফলদায়ক হয় না।
৫। রান্নার উপকরন হিসেবে রসুনের ব্যবহার আবহমান কাল থেকেই। শুধু রান্নায় স্বাদের তারতম্য আনার জন্য নয়, রসুনের পুষ্টিগুণও রসুনকে পৌঁছে দিয়েছে উপাদেয় মসলার তালিকায়। তাই রান্নার অনুষঙ্গের পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্য ভাল রাখার মন্ত্র হিসেবেও কাজ করছে। আর এই জন্যই তো বিজ্ঞানীদের কাছে এখন এর পরিচয় “বিস্ময়কর ঔষধ”নামে।
পাঠ /পদ্ধতি - ৩
জেনে নিন খালি পেটে রসুন খেলে কী হয়?
রসুন একটি মশলা জাতীয় উদ্ভিদ, যা আমরা খাবারে প্রয়োগ করা ছাড়াও অন্যান্য কাজেও লাগাই। যেমনঃ ঔষধ হিসেবে রসুন খুব কাজে লাগে, আর রান্না করার সময় এটি না থাকলেই নয়। আমরা অনেকে খালি পেটে রসুন খাওয়ার কথা শুনেছি। যা অনেকের কাছে নানী-মায়ের রেসিপি নামেও পরিচিত। খালি পেটে রসুন খাবার বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। খালি পেটে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগ দূর হবার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তোলে।
হাজার বছর ধরে খাবার আর ওষুধ, দুই রূপেই রসুন ব্যবহার হয়। প্রায় সাত হাজার বছর আগে মধ্য এশিয়ায় রসুনের প্রচলন ছিল; এরপর আফ্রিকা ও ইউরোপে এর প্রচলন শুরু হয়। খালি পেটে রসুন খাওয়ায় উপকারের কথা বলেছেন অনেক গবেষক। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা।
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক
গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাবার ফলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর ন্যায় কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন খালি পেটে রসুন খাবার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সমূহ আর রক্ষা পায় না।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাবার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাবার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।
অন্ত্রের জন্য
এটি লিভার, পিত্তথলি ও পাকস্থলী ভালো রাখতে সাহায্য করে। হজমশক্তিকে ভালো রাখে রসুন; পাশাপাশি চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। স্নায়ুর চাপের ফলে পাকস্থলীতে যে এসিড তৈরি হয়, তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে এটি।
খাবার যখন ওষুধ
রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি খাবার। বহু বছর ধরে এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী।
শ্বাসের সমস্যায়
নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসনালির প্রদাহ, ফুসফুসে সমস্যা, অ্যাজমা, কাশি ইত্যাদির সমস্যায় রসুন খাওয়া ভালো। এসব সমস্যা রোধে রসুন কার্যকর।
যক্ষ্মার প্রতিরোধে
আপনার যদি টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন।
শ্বসন:
রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে:
অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে।
এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা :
যাদের রসুন খাবার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যাদের রসুন খাবার ফলে দেখেন ত্বকে কোনো সমস্যা হচ্ছে, যদি দেহের তাপ বেড়ে যায়, মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের কাঁচা রসুন না খাওয়া ভাল।
অনেকের রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না । এখন রসুনকে ঔষধের বড়ি হিসেবে তৈরি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
কোনো খাবার নিয়মিত গ্রহণের আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন এবং জেনে নিন খাবারটিতে আপনার কোনো সমস্যা হতে পারে কি না।
Nice
Nice post
Good post
You must be logged in to post a comment.