বাদাম
দাঁতের যত্নে বাদাম একটি অতি উপকারী খাদ্য। এতে ভিটামিন বেশি না পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। এ ছাড়া ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও জিংকসহ প্রয়োজনীয় অনেক খনিজ উপাদানও এতে রয়েছে। আর এসব খনিজ উপাদান দাঁত এবং দাঁতের অস্থিকে মজবুত এবং সুস্থ রাখে। দাঁতের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে। তাছাড়া ওজন কমানো, কিডনির রোগ, হৃদরোগ, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও নিয়মিত বাদাম খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন আপনার খাবারের আইটেমের মধ্যে থাকুক অন্তত এক মুঠ বাদাম।
কাঠবাদাম -
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর বা দেহের কোনো হাড় ভেঙে গেলে, কাঠবাদাম খেলে হাড় পুষ্টি পাবে দ্রুত। লম্বা আকারের বাদাম, খোসা (পাতলা আবরণ) ছাড়িয়ে খেতে হয়। কাঁচা খেতে পারলে খুব ভালো। কাঁচা হজম করতে না... পারলে পানিতে ভিজিয়ে খাবেন। বাদামের ওপর পাতলা বাদামি বা খয়েরি রঙের আবরণ থাকে। পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই খোসাটা উঠে যায়। চিবিয়ে বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে সেদ্ধ করে খাওয়া যায়। গর্ভবতী মহিলা, বাড়ন্ত শিশু ও মেনোপোজ (চিরতরে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়ে গেছে—এমন নারীদের জন্যও কাঠবাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। আবার বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্যও এই বাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর বেশির ভাগ মানুষের অসটিও পোরোসিস হয়, এই অসুখে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যা পুরো শরীরের ওপর ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব।
এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন দেহের ওজন কমানো, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও নিয়মিত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। মেনোপোজ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাঁদের দেহে জরুরি অনেক হরমোন তৈরি হয় না (হরমোন শরীরের জন্য উপকারী উপাদান)—এমন অবস্থায়ও কাঠবাদাম হতে পারে আপনার বন্ধু। প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনটা খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের জন্য জরুরি অনেক উপকরণ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকে জোগায় পুষ্টি, সাহায্য করে বার্ধক্যকে দূরে ঠেলতে। ত্বকের অসুখগুলোকে দূরে রাখে। দাঁত, হাড়, নখ, চুলকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে এই বাদামের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তবে সবাই হজম করতে পারে না। অবশ্যই নিজের হজম ক্ষমতা বুঝে খান বাদাম বা কাঠবাদাম।
কাজুবাদামের উপকারিতা
কেক কিংবা চকোলেট, পায়েস হোক বা চাটনি, সব কিছুতেই কাজুবাদাম আমাদের খুব পছন্দের। তবে কাজুবাদাম যে শুধুমাত্র স্বাদের জন্য খাওয়া হয় তা কিন্তু নয়। কাজুবাদামের অনেক গুণাগুণ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি রয়েছে। ডায়টিশিয়ান, নিউট্রিশিয়ান এবং সমস্ত চিকিৎসকরাই শরীরের জন্য কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কাজুবাদাম যে কোন খাবারের স্বাদ অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এই বাদামে প্রচুর পরিমানে মিনারেল, ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে।
কাজুবাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা -
১. হার্টের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারি।
২. রক্তের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে কাজুবাদাম। প্রতিদিন কাজুবাদাম খেলে এর মধ্যে থাকা কপার আমাদের শরীরে রক্তের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩. চোখ আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কাজুবাদামের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টস আমাদের চোখের রেটিনাকে সুস্থ রাখে। এর ফলে আমাদের চোখ অতিবেগুনী রশ্মির হাত সঙ্গে লড়াই করতে পারে।
৪. কাজুবাদাম যে আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। কাজুবাদামের তেলে প্রচুর পরিমানে জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও তাতে প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। যা আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ত্বককে ক্যানসারের হাত থেকেও রক্ষা করে।
৫. শরীরের ওজন কমাতে কাজুবাদামের জুড়ি মেলা ভার। রোজ নিয়ম করে কাজুবাদাম খেলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায়। আবার শরীর সুস্থও থাকে।
Nice
Nice post
Nice post
Great
Very nice post
Thanks
You must be logged in to post a comment.